রবিবার, ২৯ Jun ২০২৫, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

গণভবনে আয়নাঘরের একটি রেপ্লিকা নির্মাণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি হিসেবে গণভবনে দ্রুত জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গণভবনকে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের অপশাসন, নির্যাতন, খুন-গুম এবং স্বৈরাচার উৎখাতের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা গণভবন পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জাদুঘরে তার (শেখ হাসিনার) দুঃশাসনের সময়কালের স্মৃতি এবং তাকে উৎখাতের সময় জনগণের ক্ষোভের চিহ্নগুলো থাকা উচিত।’

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পরপর লাখো জনতা গণভবনে হামলা চালায়।

বিক্ষোভকারীরা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে শেখ হাসিনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রাফিতি এঁকে দেয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গণভবন জাদুঘরে আয়নাঘরের রেপ্লিকা নির্মাণ করা উচিত, যেখানে (আয়নাঘর) হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে শতশত ভিন্নমতের ও বিরোধী নেতাকর্মীদের আটকে রাখত।’

‘(গণভবন জাদুঘর) পরিদর্শনে যারা আসবে, আয়নাঘর তাদের গোপন বন্দিশালার নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেবে,’ বলেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস অপর তিন উপদেষ্টাকে জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলেন তিনি।

এ সময় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘হাসিনা শাসনের ২০০৯ সাল থেকে সব অপকর্ম জাদুঘরে যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হবে।’

বিভিন্ন দেশে বিপ্লব ও বিদ্রোহের স্মরণে বিভিন্ন স্মৃতিস্মারক কীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, তা জানতে অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন।
ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION